তিনটি
কবিতা : তাহিতি ফারজানা
ভালবাসা
ভেঙে যেতে যেতে দাঁড়াই
অসহিষ্ণু সময়ে।
যেন বজ্রের হুঙ্কারে কেঁপে উঠে—
বৃষ্টির ভেতর
একা বসে থাকা কোন গান।
হিংস্রতা বাড়ে...
জেনো, কোন খেলা অহিংস নয়।
ভালোবেসে তাই—
তোমাকে আলিঙ্গনের আগে
আমি দাঁত, নখ, জিভ খুলে রাখি।
আমাকে জাগাও
আমাকে জাগাও ফের
ব্যথার পরিখা ভেঙে—
চোখে গেঁথে থাকো নগ্নতা,
ভানহীন সৌন্দর্য।
স্মিতহাস্যে সরিয়ে নাও
মোহের জঞ্জাল থেকে,
সরু ঠোঁট দিয়ে দীর্ঘায়ু সারস।
রাস্তার দৈর্ঘ্য মাপতে গিয়েছি যত
বুঝেছি মগজের ভেতর আদৌ কোন কোমল রাস্তা নেই,
কেবল সংখ্যার ভিড়।
শূন্যের অধিক আমি—
বিষের ছোবল থেকে আমাকে তুলে নাও লহমা।
ঈসার তিরোধানের মতো।
হিজল ফুলের কাছে ঋণ
হিম হয়ে জমে আছে তাই
অস্তমান পৃথিবীর মুখ
ভোরে ভোরে লাল হয়ে ফোটে।
ধুয়ে দাও ঘুম পোড়া চোখ
অভিপ্রায় আমাকে জাগাও।
যাওয়া-আসা অথবা অন্যকিছু
আসা মানে যাওয়ার পাঁয়তারা
একথা জেনেছিল সবাই
তাদের অস্থি-স্বত্তার গোপন আয়নায়
আয়ুরেখা গুলো কি ভীষণ লাজুক!
একটুকরো সন্দেশের মতো
নিজের ছায়াকে প্যাকেটে পুরে
ঘাসের চোখ মাড়িয়ে
জীবন ও দ্বন্দ্ব কে কার সঙ্গে মিশে গেল—
কে কার দেহে লুপ্ত হল—
বাতাসের রেনু মেখেগায়ে
তার রহস্যখনি উন্মোচন করেছিল সবাই।
অথচ—
যাওয়া মানেও ফেরার আশঙ্কা
যে যার স্রোতের দিকে মুখ করে
ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেনি।
অবচেতন
বিপরীত চিন্তনে নিজেকে বাজিয়ে দেখি—
যা কিছু চাইনা
অবচেতন তাকে কতটা
অস্বীকার করে!
শেষপর্যন্ত এ এক মনস্তাত্বিক খেলা
নিজের সঙ্গে।
এরকম বিদ্ধ হতে হতে
বহুলব্যবহৃত প্রতিবিম্ব ছাড়িয়ে দেখি,
পারস্পরিক সংঘাতে কতটুকু মুখ
মুখোশের বিরুদ্ধে দাঁড়াল!
No comments:
Post a Comment