দুটি
কবিতা : অনিকেশ
দাশগুপ্ত
আরক
নৈসর্গিক জুড়ে পড়ে আছে ত্রস্ত
পথ
মানুষের সৃষ্ট বিজন গিরিখাত, মেঠো ছাগলের ধূসর আবছায়া চলাচল
এই উপত্যকার দৃশ্যরাশি ক্ষয়িষ্ণু
মেয়েটির মতো
তার নিজের আবিষ্কৃত হেঁশেল
আর অলস চাপাটি হাতের বোল ঘিরে
আরো দূরে পরিত্যক্ত যোগাযোগ
খাড়া বাঁকের দিকে বিমর্ষ চেয়ে
অলস দিনের শব্দ অনেকটা গাছে
বাঁধা পূর্ণাঙ্গ ঘোড়াটির হ্যালো
হয়ে ফুটে আছে সোনালী চাকার
শূন্যতা,
অর্দ্ধভূক সেই বেপরোয়া শরীরে
নক্ষত্রের স্পষ্ট স্থানবদল
চিহ্নিত হয়…অন্তত এই আদিবাসী অধ্যুষিত
গ্রামে
সোনার ঘট হিসেবমতো ভাঙে ,সান্ত্রীরা গতি কমিয়ে উঠে আসে
এই টেবিল পাহাড়ে ,তারপর সমাধিস্থ তীরধনুক তাক করা হয়
যেন অলৌকিক হুর নেমে আসে তার
অসংজ্ঞায়, মৃত ছাগলের
রক্তপানরত মন্ত্র কিংবা প্রার্থনায়
রাত্রিব্যাপী কোরকে সঞ্চিত হয়
মূল্যবান হীরকজল, ঊষার আলোয় মুসাফির রওনা দেয় পুনরায় -
শিশুর কাঁচাহাতে আঁকা পাইনবন
তখন নিরুদ্দেশের আরক হয়ে
জেগে থাকে প্রতিশ্রুত উপত্যকাময়...
ক্লাউন
এইমুহূর্তে আমরা প্রত্যেকে
অপেক্ষায় আছি
মঞ্চের আলো মৃদু হবে, জরিকাজ শিখে নেবে অফুরন্ত মুগ্ধতায়
জীবনকে খোলাপাঠ, নিসর্গ কাহিনী শোনাতে শোনাতে
প্রদক্ষিণরত পক্ষীরাজ এসে পড়বে
লিপিজুড়ে আর আমরা
অগোচরে খুলে দেবো নন্দিত আত্মা, হাঁসের জলজ প্রতিবিম্ব
যেন বেপরোয়া ভেসে উড়ে যাচ্ছে
বিধুর মেঘউঠোন
প্রেমিকার পুরনো গলির মুখে
ফেরিওয়ালা ডেকে যাচ্ছে…
জোনাকির ভেতর যেহেতু আমরা সেঁধিয়ে
আছি ক্রমে
অরণ্যময় চেতনায়, আবার একটা রাত আমরা এই জন্মের
অন্তর্লীন অক্ষরে গড়ে তুলবো
একনিষ্ঠ ক্লাউন …
No comments:
Post a Comment