।। বাক্‌ ১২৩ ।। অলোক বিশ্বাস ।।







দুটি কবিতা : অলোক বিশ্বাস


সিটি মলের সূচক

মশার সূচক থেকে দূরে আছো সত্যি নয়, বৃষ্টিজ কাদা থেকে দূরে
আছো সত্যি নয় । কে কাকে চাউর করলো কে কাকে বাথরুমে
বেঁধে রাখে সমস্ত পড়েছ দিব্যি দিয়ে । এবার জমাটি আড্ডার নোট্‌স না শুনিয়ে থাকতে পারছ না।

 সকল জায়গার পাবলিক, চোষ নিয়েছে
তোমার, আলাদা কোরে বেহালা বা সুতানুটির উল্লেখ নাই বা হোল ।
প্রতিটি রশ্মিগুচ্ছ থেকে বরিষণ অর্জনে সৌন্দর্যায়িত জলাধার নির্মিত
হয়েছে তোমার । বিমানপোতের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছ হাইওয়ের সঙ্গে
দিবারাত্র সারিগান । আমাদের উচ্চতর মাস্টারমশাইরা বেশ খুশি
তোমার পুনরাধুনিক ডিওর প্রবাহে । আপ্যায়ন কতো রকমের হয়,
কতপ্রকার সেলুলয়েড মনের কিনারে ও ব্যালকনির বনসাইয়ে ।
দীর্ঘ দীর্ঘ পায়ের প্রতিশব্দ, মিনারেল ওয়াটার, ভেষজের প্রতি রম ।
হরিণ হরিণার দৃশ্যগন্ধ পাবো বলে পরিক্রমা অসম্পূর্ণ রাখি কী কোরে ।
যদি গরুর গাড়ি চড়ে তোমার দরজায় গিয়ে দাড়াই, নেমে আসবে
শরবতের ট্রে হাতে নিয়ে, গ্রহ নক্ষত্রের বাসিন্দাদের আজগুবি পোশাক
পরিয়ে, পুনরাধুনিক বালক বালিকারা চেয়ে থাকবে কিটভরা আলোর
চেহারায়, প্রকৃতির বেয়াব্রু ঠিকানায় । ভূমিকম্পের সময় শোনা গেলো
উলু দিলে শঙ্খ বাজালে, ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে চোগাচাপকান বিস্ময়ে
শ্রাবণ শরত মেঘের কণ্ঠে মণিকোঠায় স্বপ্নের সুলভ বলে গেলে ।


গানের শহর

শ্রেণি ভোলা তার, তারের ছররা, বাইরে বাজে, ভেতরে বাজে, যদিদং তদিদং
যে বাজায় বাঁশি, সাজায় খোলকরতাল, তারে চিনি বা না চিনি কিইবা এসে যায়
উজানে আটকায় নাতো কেউ, সাবলীল গানসকল অনাবিল পাখি হয়ে শিস দেয়
পাখনায় ভাসিছে ওই কথক কথকিনী, গিরিবাজ পায়রা, শ্রীকান্ত ইন্দ্রজিত ছেলেরা
কেউ লোহা খায় কেউ তুলো মাটি ধান গম ভুট্টা জোয়ার ফিজিক্স ম্যাথ ও মনীষা
শ্রেণি ভুলে, জাতপাত ভুলে, নিবিড় মাথাব্যথা ভুলে বাজায় গুপীযন্ত্র ফাটাফাটি
যতোপ্রকারের কোমলতা ভাবি, যতোপ্রকারের নদ ও সাগরপানির ভালবাসাবাসি
স্পষ্টতই টের পাও, বাঁচার প্রকরণ গীটারের ঝলকে টের পাও, সুন্দরী রমলা নাচে
কখনো ঝাঁপতাল কখনো ঝুমুর বাজাও রে-রে অহো মায়াপুর থেকে আসা ঢাকিরা
 
সুরের মাতাল দোলায় ভূমধ্যসাগর, শ্রেণিফ্রেনি সব বরবাদ কোরে বসেছে আসর
আসর বসেছে যখন চাঁদ আর সূর্যের ঢ্যামনামি বন্ধ করো হে শ্রেণিভুক্ত বন্ধুয়াগন
শ্রেণি ভোলা তার গানেগানে ছড়াবে শিহর, বৃষ্টিতে মেতে ওঠা এই তৃষিত নগর ।


No comments:

Post a Comment